যে কোন দেশকেই ক্রমান্বয়ে সর্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষার দিকে যেতে হবেঅর্থ সংস্থান এবং ব্যয় নির্বাহের জন্য নিম্নোক্ত পরামর্শগুলি দেয়া হয়ে থাকেঃ

  • সম্পদ
  • সম্পদের সমাহার ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি করতে হবে।
  • জনসংখ্যার আওতা
  • প্রথমে দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে আওতাভূক্ত করতে হবে।
  • ক্রমান্বয়ে অন্যান্য জনগেোষ্ঠীকে অন্তর্ভূক্ত করতে হবে।
  • স্বাস্থ্য সেবা
  • প্রথমে অত্যাবশ্যকীয় ও জরুরী স্বাস্থ্য সেবাকে অন্তর্ভূক্ত করতে হবে।
  • ক্রমান্বয়ে অন্যান্য স্বাস্থ্য সেবাকে অন্তর্ভূক্ত করতে হবে।
  • ব্যয়
  • প্রথমে পরিবারের স্বাস্থ্য ব্যয়ের আউট অফ পকেট ব্যয় হ্রাস করতে হবে।
  • ক্রমান্বয়ে পরিবারের পুরো স্বাস্থ্য ব্যয় নির্বাহ করতে হবে।

বাংলাদেশে স্বাস্থ্য সেবা বা অন্য যে কোন সেবা অল্প খরচে এবং সহজে সফল করার পক্ষে বেশ কিছু আর্থ-সামাজিক, ভৌগলিক এবং নৃতাত্ত্বিক সুবিধা রয়েছে। স্বাস্থ্য সেবার নিরিখে সেগুলি এরূপঃ

  • জনসংখ্যার বিপুল ঘনত্ব এবং সহজগম্যতা: ফলে এক জায়গায় একটি স্বাস্থ্য কেন্দ্র স্থাপন করলে বা স্বাস্থ্য প্রদানকারীকে দায়িত্ব প্রদান করলে চতুর্দিকের বহু মানুষকে সেবা প্রদানের সুযোগ সৃষ্টি হয়।
  • ভালো সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা: প্রধানত: সমতল ভূমি হওয়ায় বাংলাদেশে বিস্তর সড়ক অবকাঠামো নির্মাণ করা সম্ভব হয়েছে। ফলে সহজেই রোগী স্বাস্থ্য কেন্দ্রে যেতে পারে। রোগীকে অল্প সময়ে স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নেয়া সম্ভব হয়। স্বাস্থ্য সেবা প্রদানকারী সহজে নাগরিক বা রোগীর কাছে পৌঁছতে পারেন।
  • একই ভাষা: সব নাগরিক একই ভাষায় কথা বলে। একটি ভাষায় প্রশিক্ষণ সামগ্রী তৈরি করলেই চলে, একই ভাষায় সেবা প্রদানকারীদের প্রশিক্ষণ দেয়া যায় এবং মানুষকে একই ভাষায় স্বাস্থ্য সচেতনতামূলক শিক্ষা দেয়া যায়।
  • স্বাস্থ্য সেবা প্রদানের জন্য সারা দেশে ছড়িয়ে থাকা বিস্তৃত সরকারি স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্র এবং মাঠ স্বাস্থ্য কর্মী: যদিও অপ্রতুলতা রয়েছে।
  • ভালো মোবাইল নেটওয়ার্ক এবং ইন্টারনেট লভ্যতা: আধূনিক যোগাযোগকে সহজ করেছে।
  • শক্তিশালী বেসরকারি ও এনজিও স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠান: সরকারি স্বাস্থ্য সেবার পরিপূরক হিসাবে কাজ করছে।
  • সক্রিয় গণমাধ্যম ও সামাজিক গণমাধ্যম: সহজে স্বাস্থ্য বিষয়ক সংবাদ বা স্বাস্থ্য বিধি জনগণের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে পারে।
  • সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্য সচেতনতা: মানুষকে সহজেই সঠিক স্বাস্থ্য বিধি ও আচরণ মেনে চলতে উৎসাহিত করে।